তিস্তা ১৯৮৩ সাল থেকে জল নিয়ে দরাদরি চলছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে।

তিস্তা ১৯৮৩ সাল থেকে জল নিয়ে দরাদরি চলছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে।

1491827843091

তিস্তা নদীর উৎপত্তি সিকিমে। সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অংশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তা বাংলাদেশে এসেছে। এই নদীর ৫৫ শতাংশ জল ভারত দাবি করে থাকে।

১৯৮৩ সাল থেকে জল নিয়ে দরাদরি চলছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে। ২০১১ সালে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি হওয়ার কথা ছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে। যার সময়কাল ১৫ বছরের। সেই অনুযায়ী তিস্তার ৪২.৫ শতাংশে ভারতের অধিকার ও ৩৭.৫ শতাংশ বাংলাদেশের অধিকার রয়েছে।

1491827867503

 

বাংলাদেশ ডিসেম্বর থেকে মে মাসের মধ্যে প্রতিবছর তিস্তার জলের ৫০ শতাংশ ভাগ চায়। কারণ সেইসময়ে বাংলাদেশে জলের যোগান সবচেয়ে কম থাকে। ফলে বাংলাদেশের কৃষকদের একাংশ জীবন-জীবিকা নিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়েন।

ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের নিজস্ব কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পশ্চিম বাংলা দাবী করছে, চাষবাস ও সেচের কাজে প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত জল তিস্তা থেকে তারা পাচ্ছে না। এই অবস্থায় বাংলাদেশকে কীভাবে বেশি জল ছাড়া যেতে পারে।

তিস্তা অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত হওয়া নদীগুলির মধ্যে চতুর্থ সবচেয়ে বড়। সেচ ও মৎস্য চাষে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিস্তার প্লাবনভূমি বাংলাদেশের ২৭৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।

খড়া মরশুমে চাষের জন্য সঠিকভাবে জল না পেলে বাংলাদেশের পাঁচটি জেলার ১ লক্ষ হেক্টর জমি আক্রান্ত হচ্ছে।

জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়েও বিতর্ক এর পাশাপাশি তিস্তাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওটা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। সিকিমে তিস্তার উপরে অন্তত ২৬টি এমন প্রকল্প রয়েছে। যা থেকে ৫০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র রাখা হয়েছে। এই দরাদরী কবে নাগাত শেষ হবে।

হিন্দু নববার্তা ম্যাগাজিঙ নিউজ ১০.০৪.২০১৭.

Leave a comment