সংখ্যালঘু গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সংখ্যালঘু এক নারী ও তার ছোট ছেলেকে মারপিট করার অপরাধে থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমতাবস্থায় সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ মার্চ রাতে নজর মামুদ গ্রামের হায়ফত আলীর ছেলে হোসেন আলী একই গ্রামের রতন দেবনাথের স্ত্রীকে একা পেয়ে জোর করে ঘরে প্রবেশ করে। পরে ওই নারীকে ধর্ষনের চেষ্টা করলে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা লোকজন ছুটে আসে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে হোসেন আলী পালিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সুরাহার চেষ্টা করলে বিভিন্ন সময় ওই নারীকে হুমকি দেয় হোসেন আলী। গত ৯ এপ্রিল দুপুরে ওই গৃহবধূ তার বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলে হোসেন আলী বাঁশ দিয়ে এলোপাতারীভাবে মারপিট করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে ছোট ছেলে জীবন চন্দ্র দেবনাথ এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে হোসেন আলী।
নির্যাতিত ওই গৃহবধূ বলেন আমার স্বামী বাইরে কাজ করে। এই সুযোগে হোসেন আলী প্রায়ই আমাকে উত্তোক্ত করে। হোসেন আলীর বড় ভাই মানিককে বিচার দিয়েও কোনও প্রতিকার পাইনি। বাধ্য হয়ে গত এক সপ্তাহ আগে থানায় অভিযোগ করি। কিন্তু পুলিশ নানা তাল-বাহানায় করলেও এখন পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বরং হোসেন আলী আমাকে মোবাইল ফোনে এখনও হুমকি দিচ্ছে।’
উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ক্ষীরধ চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘অসহায় একজন গৃহবধূর সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আমি এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’
এ প্রসঙ্গে ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবু জানান,‘বিষয়টি আমি জানি না। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওযা হবে।’
ফুলবাড়ী থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, ‘নববর্ষ, নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি নিয়ে এতদিন তদন্ত করা যায়নি। এখন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হিন্দু নববার্তা ম্যাগাজিঙ নিউজ ১৭.০৪.২০১৭.
ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
প্রকাশ :বাংলা ট্রিবিউন।
Advertisements